আপনারা অবশ্যই জানেন নারী পুরুষের যৌনতার বিষয়টি সরাসরি স্বাস্থের উপর নির্ভর করে। বিশেষ করে পুরুষের স্থায়িত্বের বিষয়টি তার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না। শারীরিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে থাকে। তাই দৈনন্দিন খাবার দাবার পুরুষ এবং মহিলা দু'জনেরই যৌনাকাঙ্ক্ষার উপর অত্যধিক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে কিছু কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো অকালেই আমাদের শরীরকে মলিন করে দেয়। এমন খাদ্যগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকা প্রয়োজন।
মিষ্টি পানীয় :-
মিষ্টি জাতীয় যেকোনো পানি পানে শুধুমাত্র ক্যাভেটি, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগ হয়, এমনটি নয়। মিষ্টি জাতীয় পানীয় অধিক পানে মানুষের স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস পায়।
পনির :-
সাধারনত বাজারে যেসব পনির বিক্রি হয় সেগুলো গরুর দুধ থেকে তৈরি। প্রক্রিয়াজাতকরন খাদ্য বেশি মাত্রায় গ্রহনে শরীরে টক্সিনের হার বেড়ে যায় এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এমন হরমন হ্রাস করে।
প্রক্রিয়াকরণ মিষ্টান্ন :-
প্রক্রিয়াজাত করা মিষ্টান্ন শরীরের জন্যে কোনো ভাবেই সুখকর নয়। আপনি যদি স্থূলতা কমাতে চান তাহলে অবশ্যই খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও হ্রাস করে প্রক্রিয়াজাতকরণ মিষ্টান্ন।
ভাজাভুজি এবং চিপস :-
আলুর চিপস খেলে আপনি মুটিয়ে যাবেন, এর চেয়েও ভয়াবহ হলো চিপসগুলো ভাজতে ব্যবহৃত তেল। অতিরিক্ত তাপে তেলের গুণাগুন নষ্ট হয় এবং ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা শরীরে বাড়ে। এর ফলে শরীরের যৌন উত্তেজক টিস্যু এবং সেল ধ্বংস করে।
খাদ্য ব্যবহৃত রং এবং ফ্লেভার :-
অনেক খাবারে কৃত্রিম রং এবং আলাদা স্বাদের জন্যে ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়। এগুলো শরীরের জন্যে যেমন ক্ষতিকর, ঠিক তেমনি যৌন উত্তেজক হরমোন ধ্বংসেও কাজ করে।
নিম্নমানের তেল :-
নিম্নমানের তেল যেমন দ্রুত আপনাকে মুটিয়ে ফেলবে ঠিক তেমনি নারীদের জন্যে তো অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার আরও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। এতে নারীদের রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেম কমিয়ে সন্তান জন্মদানের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়।
কফি :-
সকালে এক কাপ কফি পানের অভ্যাস আপনাকে অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু অতিরিক্ত কফি পানে শরীরে যে টক্সিনের সৃষ্টি হয় সেটি যৌন হরমোন হ্রাস করে আপনাকে মলিন করে দেবে।
বোতলজাতকরণ খাদ্য :-
বোতলজাতকরণ খাবারের বৈশিষ্ট্য হলো অধিক সোডিয়াম এবং স্বল্পমাত্রায় পটাশিয়ামের উপস্থিতি। এতে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে এধরনের ধমনীগুলোতে রক্ত চলাচলের মাত্রা হ্রাস পায়। যৌন মিলনের সময়ে রক্ত চলাচলের হার স্বাভাবিক থাকা অবশ্যম্ভাবী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন