রতিসুখের চরম বিন্দুতে পৌঁছনোর বিষয়ে এযাবত হয়তো কয়েক কোটি প্রবন্ধ পড়ে ফেলেছেন নিশ্চয়? জেনে রাখুন, ওই সমস্ত আসলে আদ্যপান্ত জঞ্জাল। এ ব্যাপারে আসল কথাটা বলে বিজ্ঞান। আসুন কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক যৌনচর্চা হয়ে যাক।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মোজা পরে সঙ্গম করলে চরম সুখ প্রাপ্তি হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, পায়ে মোজা পরা থাকলে যৌন সুখ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে উত্কট রহের মোজা পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
হাসিখুশি পুরুষের প্রতি আদৌ কোনও যৌন আকর্ষণ বোধ করে না নারী। বরং গোমড়া মুখের সঙ্গীর প্রতি দৈহিক মিলনের তীব্র কামনা অনুভব করেন মহিলারা। অন্যদিকে, নারীর হাসিমুখ দেখে পুরুষের যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সুতরাং কাতুকুতু দিলেও কোনও মতে পুরুষের হাসি চেপে রাখাই বিধেয়।
রৌদ্রস্নানে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই মনে তীব্র যৌন কামনা জাগে। মিলনের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে অতএব রোদ পোহানো অভ্যেস করতে পারেন।
পূর্বরাগ পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে পুরুষের নাক। নাকের সামনের নরম অংশের স্পর্শে নারীর যৌন চেতনা জেগে ওঠে। তীব্র কামোন্মাদনা তৈরি হয়।
ঘর্মাক্ত পুরুষ দেখলে অধিকাংশ মহিলারপ্রবল যৌন ইচ্ছা তৈরি হয় বলে সমীক্ষায় জানা গিয়েছে। আসলে পুরুষের ঘামের সঙ্গে অ্যান্ড্রোস্ট্যাডিএনোন ক্ষরণের ফলে জাগ্রত হয় নারীর যৌন চেতনা।
একটি ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে পেশিবহুল পুরুষ মাত্রই নারীকে চরম যৌন তৃপ্তি দিতে সক্ষম। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত পুরুষের শরীরের মধ্যপ্রদেশ স্ফীত, তাঁরাই দীর্ঘ সম্ভোগ করতে পারেন। আসলে শরীরে চর্বি থাকার মানে হল স্ত্রী হরমোন এস্ট্র্যাডিওল-এর আধিক্য। এই হরমোনের সাহায্যে চরম রতিসুখের স্তরে পৌঁছতে সাধারণের তুলনায় অন্তত ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে ভুঁড়ি সমৃদ্ধ পুরুষের। তাই সিক্স প্যাক্স-এর মোহ ত্যাগ করে মহিলারা স্থূল শয্যাসঙ্গী বাছলেই অধিক যৌন তৃপ্তি লাভ করবেন।
যত্ন করে দাড়ি কামানো মুখের চেয়ে গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িই নারীকে বেশি আকর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে। এলোমেলো চুল আর অগোছাল দাড়ির পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে তৃপ্ত হন বেশির ভাগ মহিলা।
অন্তরঙ্গতা বাড়াতে চুমুর বিকল্প নেই, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যে যুগল ঘন ঘন চুম্বনে অভ্যস্ত, দেখা গিয়েছে দীর্ঘায়িত যৌন মিলনের আনন্দ তাঁরাই উপভোগ করেন।
মশলাদার খাবার পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে বলে জানা গিয়েছে। পছন্দের পুরুষের থেকে সম্পূর্ণ দৈহিক সুখ লাভ করতে হলে তাঁকে মশলা মিশ্রিত সুস্বাদু পদ পরিবেশন করুন।
বেশির ভাগ পুরুষই মেয়েরা লাল রঙের পোশাক পরলে তীব্র যৌন আকর্ষণ বোধ করেন। তাই কামনার সঙ্গীকে যৌন সচেতন করে তুলতে রাঙা সাজে সেজে উঠুন।
মাথা ধরার অব্যর্থ দাওয়াই হল রতিসুখ, জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যৌন তৃপ্তি অনেক সময় আংশিক অথবা পুরোপুরি মাইগ্রেন সারাতে সক্ষম।
বিজ্ঞানীদের মতে, বয়স্কা মহিলারা অল্পবয়েসীদের চেয়ে তুলনায় দ্রুত যৌন সুখের চরম সীমায় পৌঁছান। এই কারণে বয়সে বড় নারীর সঙ্গে পুরুষের সঙ্গম বেশি তৃপ্তিদায়ক বলে মনে করেন তাঁরা।
জানেন কি, ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বহু মানুষ রতিক্রিয়াশীল থাকতে পারেন? ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খাওয়া অথবা হেঁটে-চলে বেড়ানোর অভ্যাসের মতো কেউ কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় দিব্যি যৌন মিলনে লিপ্ত হতে পারেন। এই অসুখের নাম 'সেক্সমনিয়া'। মজার কথা, ঘুম ভাঙলে ঘটনাটি একেবারেই ভুলে যান তাঁরা।
তবে যতই টিপস নিন না কেন, কার্যক্ষেত্রে সঠিক দাওয়াইটি মনে করে প্রয়োগ করতে পারলেই অভীষ্ট সিদ্ধি হবে। মনে রাখবেন, যৌন সংক্রান্ত কোনো রোগ থাকলে আগে তার ট্রিটমেন্ট করাই বিধেয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন