বেলেডোনা (Belladona) : ঠান্ডা বাতাস অপছন্দ শীত কাতর রোগীদের অঞ্জনিত ইহা উপকারী ।অঞ্জনি স্থানটি টকটকে লাল ।তাহাতে অত্যন্ত চিরিক মারা দপদপনি ব্যথা গরম মাঝে মাঝে জ্বলে দুর্বলতা বেলাডোনা অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 3x 6 বা 30 তিন ঘন্টা অন্তর ।
হিপার সালফ(Heper Sulph) :ঠান্ডা বাতাস অসহ্য শীত কাতর কি শীত কি গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে আপাদমস্তক ঢাকিয়া রাখে ।গরমের দিনে প্রচুর ঘাম হয় ।মেজাজ খুবই রোগী ।এই ধাতুর রোগীদের এই ঔষধ অধিক ফলদায়ক ।অঞ্জনিতে স্পর্শ কাতরতা ব্যথা হাত ছোয়ান তো দুরের কথা ঠান্ডা বাতাস লাগাও সহ্য হয় না ।ইহাতে হিপার অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে ৩ বার ।
ক্যালকেরিয়া পিক্রেটাম (Calcarea Picratum) :চোখের পাতার অঞ্জনিতে এই ঔষধ ব্যবহার করিয়া যথেষ্ট উপকার হইতে দেখিয়াছি ।ইহার 3x বা 3 দিন ঘন্টা অন্তর সেবনে শ্রীঘ্র পুঁজ হইয়া ফাটিয়া যায় ।30 বা 200 দিনে ২ বার সেবনে অঞ্জনি বসিয়া যায় ।
পালসেটিলা (Pulsatilla):নম্র স্বভাব কোমল মন অল্প কথায় মনে ব্যথা খোলা বাতাস পাইবার আকাখ্খা গরম কাতর এই ধাতুর রোগীদের চোখের নীচের পাতার অঞ্জনিতে পালসেটিলা মহৎ কাযকারী ঔষধ ।
সেবন বিধি :শক্তি 30 বা 200 দিনে ৩ মাত্রা ।পালসেটিলা অঞ্জনি রোগের প্রতিষেধক ।
ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphysagria): অতিশয় উত্তেজিত বদরাগী অভিমানী মনের দুঃখ মনে চাপিয়া রাখে বাহিরে প্রকাশ না করিয়া মনোঃ কষ্টে ভোগে শীত কাতর রোগীদের জিঙ্গাসায় জানিতে পারিলেন চোখের পাতায় পুনঃ পুনঃ অঞ্জনি উঠে ।কোন সময় পাকিয়া পুজ ঝড়ে আবার কোন সময় না ফাটিয়া শক্ত টিবলি হইয়া থাকে পাকে না বলে না ।ইহাতে ট্রাফিনেরিয়া উত্তম ঔষধ ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে ২ বার । পুরাতন পীড়ায় 1m সকালে দুই মাত্রা প্রয়োজনে আরো উচ্চ শক্তি ।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
ফেরাম ফস (Farrum Phos): অঞ্জনির প্রথমবস্থায় আক্রান্ত স্থান লাল চিড়িক মারা ব্যথা হইলে ফেরাম ফস কাযকারী উক্ত ঔষধ সহিত ক্যালি মিউর পযায়ে ক্রমে সেবনে উক্ত পীড়া আরোগ্য হয় ।সেবন বিধি : শক্তি 6x ২-৪ বড়ি ১ মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে ৪ বার ।
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Fluor): অঞ্জনির স্থান শক্তি টিবলির মত হইয়া থাকিলে এই ঔষধ কাযকারী ।
সেবন বিধি : শক্তি 6x বা 12x হইতে আরো উচ্চ শক্তি ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে সকাল বিকাল দিনে ২বার ।
পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যাবস্থা
অঞ্জনি স্থানে গরম জলের সেক দেওয়া ভাল। তৈল বা ঠান্ডা লাগানো অনুচিত মাংস ডিম টক খাওয়া নিষিদ্ধ । রোগী বিবরন : মোঃ দুলাল মিয়া বয়স ১৭-১৮ বৎসর মেজাজ খিট খিটে ভাড়ি অভিমানী শীত কাতর বদরাগী উভয় চোখের অঞ্জনি পাকে ও পুজ পড়ে। এই ভাবে কয়েকবার দেখা যায় ।পড়ে ডান চোখের উপরের পাতায় মটর কলাইর চেয়ে একটু বড় টিবলি হইয়া যায় ।বসেও না পাকে ও না ।ষ্ট্যাফিনেগিয়া 200 শক্তি সকাল বিকাল ২ মাত্রা চারদিন দেওয়ার পর বিশেষ কোন উপকার বুঝিতে না পারিয়া ১ সপ্তাহ পর 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রায় সেবন করিতে দেই ।সপ্তাহের মধ্যে টিবলিটি অদৃশ্য হইয়া যায় ।=====[ Be Careful ]=====
অথাবা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অপব্যবহার জনিত কোন সমস্যা শিকার হলে এই পেইজ কর্তৃপক্ষ কোন দায়ী থাকবে না। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন