বন্ধ্যাত্ব কী?
বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই জানতে হবে বন্ধ্যাত্ব কি। সন্তান ধারণের অক্ষমতাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, সাধারণত এক বছর পর্যন্ত কোনো দম্পতি সন্তান ধারণে ব্যর্থ হলে, সে অবস্থাকে বন্ধ্যাত্ব বলে চিহ্নিত করা হয়।
মহিলা ও পুরুষের যেকোনো একজন বা উভয়ই বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী হতে পারে। মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের কারণ নির্ণয় করা খুবই জটিল। তবে এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথিতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে যা এ রোগের মূল কারণের উপর নির্ভরশীল।
কি কারণে বন্ধ্যাত্বের শিকার হতে পারেন?
বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা একে অন্যের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত। বন্ধ্যাত্বের কারণ জেনে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করানো জরুরী।
ধূমপান ও অ্যাকোহলের ব্যবহারঃ ধূমপানের কারণে সার্ভিক্স ও ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ধূমপানের কারণে অপরিণত অবস্থায় ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। ধূমপানের মত অ্যালকোহলের ব্যবহারের ফলেও ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেয়। বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রেই ধূমপান ও মদ্যপান নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বয়সঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে, বিশেষ করে ৩০ এর মাঝামাঝিতে ফলিকলের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। যার ফলে উৎপাদিত ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণাগুণ হ্রাস পেতে থাকে। এ কারণে গর্ভধারনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার দেখা দেয় ও গর্ভপাতের আশংকা বেড়ে যায়।
যৌনরোগঃ বিভিন্ন যৌনরোগ যেমন- গনোরিয়া ও ক্ল্যামাইডিয়ায় আক্রান্ত হলে ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়ে থাকে যার ফলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে ও অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে যৌন রোগ হতে পারে। এর ফলে সন্তান ধারনের ক্ষমতা কমে পায়।
ওজনঃ স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন খুব বেশি বা কম হলে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।
এছাড়াও-
১। বিভিন্ন অজানা কারণে মহিলাদের গর্ভধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়।
২। সময়ের আগে ডিম্বাশয়ের পতন হলে।
৩। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম।
৪। অনিয়মিত মাসিক।
৫। ইউটেরিয়ান ফাইব্রয়েড।
৬। ভ্যারিকোসিল অফ দা টেস্টিকালস্।
৭। ওভারিয়ান সিস্ট।
৮। এন্ডোমেট্রিওসিস।
৯। পুরুষদের ক্ষেত্রে কী কী কারণে বন্ধাত্ব্য দেখা দিতে পারে?
পুরুষদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা কেমন?
শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি বা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। যে টিউব বা নালীর সাহায্যে শুক্রাণু বাইরে বেরিয়ে আসে তা কোনো কারণে আটকে গেলে বা কোনো আঘাত বা অপারেশনের কারণে বা হরমোন জনিত কারণে শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ কমে যেতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপর কিরূপ প্রভাব ফেলে?
বন্ধ্যাত্বের কারণ ও চিকিৎসা ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপরে প্রভাব ফেলে। বন্ধ্যাত্বের কারণে দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। এ সমস্যার কারণে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি তার প্রভাবে পারষ্পরিক সমোঝতা ও ভালোবাসার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও বিষন্নতায় ভুগতে থাকেন।
চিকিৎসাঃ
Agnus Cast: পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক, অল্প স্রাব ২/১ দিন দেখা যায়, সাদা বা হলদে রঙের লিউকোরিয়া। পুরুষদের অতিরিক্ত ইন্দ্রিয়সেবা জনিত শুক্রানু হ্রাস ইত্যাদি কারণে বন্ধ্যাত্ব হলে। Q-৩x শক্তি।
Aurum Met: সন্তানের জন্য মনোকষ্ট, বিষণ্নতা, আত্মহত্যার ইচ্ছা। ২০০-১এম শক্তি অব্যর্থ।
Ashwagandha: পুরুষ মহিলা উভয়ের বন্ধ্যাত্বে উপকারী। Q শক্তি সেব্য।
Nat.Carb: সহবাসের পর বীর্য জরায়ু থেকে ফেরত আসে বিধায় গর্ভসঞ্চার হয়না। ৩০-২০০ শক্তি ফলপ্রদ।
Aurum Mur Nat: জরায়ু টিউমার সহ নানা প্রকার যৌন রোগে আক্রান্ত মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব।
Coulo.Tig: মাসিক গোলযোগ, সাদাস্রাব বা অন্যান্য স্ত্রীরোগ জনিত বন্ধ্যাত্ব। Q-৩x শক্তি উপকারী।
বায়োকেমিকঃ
Nat.Mur: বন্ধ্যাত্বের জন্য বহুল ব্যবহৃত ঔষধ। ১২x-২০০x শক্তি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন