সাধারনত শীতের পরে বসন্তের শুরুতে চিকেন-পক্সের খুব বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। অন্য সময়ে দেখা দিলেও আক্রান্তের হার তুলনামুলক ভাবে অনেক কম। জলবসন্ত বা চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ, ভেরিসেলা জোস্টার নামের ভাইরাস এর জন্য দায়ী। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ ভেদে সকল বয়েসীরাই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে শিশুদের মধ্যে আক্তান্তের হার বেশি হয়ে থাকে। একবার আক্রান্ত হলে সাধারণত শরীরে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। অনেক সময় পরবর্তীবার জীবাণুর আক্রমণে হারপিজ জোসটার নামে আরেকটি রোগের প্রকাশ ঘটে থাকে।
কাশি-হাঁচি, এমনকি ত্বকের সংস্পর্শে এলেও অন্যরা এতে আক্রান্ত হতে পারে। রোগটি ছড়াতে শুরু করে ত্বকে গুটি দেখা দেওয়ার দুদিন আগে থেকেই। আর ছড়াতে থাকে যদ্দিন না সব কটি গুটি শুকিয়ে যায়। তাই আক্রান্ত রোগী অনেক সময় নিজে বুঝে ওঠার আগেই রোগ ছড়াতে থাকে।
প্রতিষেধকঃ
,br> Malandrinum: ২০০ শক্তি তিন দিন সকালে সেব্য।
Aconite Nap: রোগের প্রথমাবস্থায় শরীরে জ্বর, শুষ্কতা, মাথা ব্যথা, অস্থিরতা, মৃত্যু ভয় ইত্যাদি লক্ষন থাকলে। ৩x-৬ শক্তি।
Rhus Tox: জলপূর্ণ গুটি, জ্বর, ব্যথা। ৬-৩০ শক্তি উপকারী।
Sarracenia: প্রথমাবস্থায় প্রয়োগ করলে শীঘ্র গুটি প্রকাশিত হয়, ২য় অবস্থায় করলে ত্বকে গর্ত হয়না। শেষ অবস্থায় করলে দ্রুত ঘা শুকায়। Q- ৩০ শক্তি প্রযোজ্য।
Belladonna: অত্যন্ত জ্বর, ব্যথা, চোখ লালচে ও গরম। ৬-৩০ শক্তি ফলপ্রদ।
বায়োকেমিকঃ BP-14
আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার ১০-২১ দিনের মধ্যে এ রোগের লক্ষন প্রকাশ পেয়ে থাকে। ত্বকে ফুস্কুড়ি প্রকাশ পাওয়ার ২-৩ দিন পূর্বেই জ্বরের ভাব হয়, শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। পেটে ব্যথা হতে পারে। ফুস্কুরিতে চুলকানি ও জ্বালা-পোড়া অনুভূতি হতে পারে। ফুস্কুরিতে পরবর্তীতে পানি আসে এবং সবশেষে শুকনো কাল বর্ণের খোসা তৈরি হয়ে থাকে। এ রোগ এর স্থায়িত্ব ১৫-৩০ দিন হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন