বোবায় ধরা (Sleep Paralysis) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

বোবায় ধরা হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়া বা ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ে শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে না পারার একটি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যায়। অন্যভাবে, যখন কাউকে বোবায় ধরে, তখন সে তার শরীরের কোন অংগ-প্রত্যংগ নাড়াতে পারে না, অসাড়তা অনুভব করে। এটি ঘটে একজন ব্যক্তির ঘুমিয়ে পড়া বা জেগে উঠার আগমুহুর্তে।

বোবায় ধরা হচ্ছে ঘুম ও জাগরণের মধ্যবর্তী একটি অবস্থা। এটি ঘুমোনর মুহুর্তে অথবা ঘুম থেকে জেগে উঠার আগমুহুর্তে হতে পারে। বোবায় ধরা ব্যক্তিটি প্রায়ই একটি ভয়ের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায়, ভয়ের কোন দৃশ্য দেখতে পারে (যেমন, ঘরের ভেতরে কারো অনাকাংখিত উপস্থিতি) এবং সেই মুহুর্তে বোবায় ধরা ব্যক্তিটি নড়তে পারে না।

বোবায় ধরার শারীরিক কারণটা খুব সিম্পল। আপনি যখন ঘুমিয়ে পড়েন আপনার মস্তিষ্ক আপনার মাস্‌লে সিগন্যাল পাসিং বন্ধ করে দেয় যাতে আপনি স্বপ্ন দেখে শারীরিক ভাবে সেটাতে অ্যাক্ট করা শুরু না করে দেন। এতে আপনি আহত হতে পারেন।

কারও কারও ক্ষেত্রে ঘুম ভাঙার পরও মস্তিষ্ক সাথে সাথে মাসলে সিগন্যাল পাসিং শুরু করে না। ফলে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরও আপনি সাথে সাথে মাস্‌ল মুভ করাতে পারেন না। সাধারণত ঘুমের রুটিন অনিয়মিত হলে এটি হতে পারে।

ধরে নেওয়া হয় REM sleep (Rapid eye movement sleep) এ বিঘ্ন ঘটার কারণে বোবায় ধরা ব্যপারটি ঘটে। বোবায় ধরার সাথে কিছু মানসিক রোগ যেমন narcolepsy, migraines, anxiety disorders, and obstructive sleep apnea এর যোগসুত্র আছে বলে ধরা হয়। তবে, এসব মানসিক রোগ না থাকলেও একজন ব্যক্তি বোবায় ধরা এ আক্রান্ত হতে পারে। যখন অন্য কোন রোগের সাথে যোগসূত্র থাকে, বোবায় ধরা সাধারণত স্নায়বিক ব্যাধি Narcolepsy এর কারণে হতে পারে।


Kali Brom: স্নায়বিক দুর্বলতার কারণে বোবায় ধরা। ২০০ শক্তি উপকারী।

Nux Vom: পাকস্থলীর গোলযোগ হেতু যাদের কোষ্ঠবদ্ধতা আছে তাদের বোবায় ধরা। ৩০-২০০ শক্তি।

Silicea: অমাবশ্যা পূর্ণিমায় বোবায় ধরে। ২০০ শক্তি।

Acid Sulph: মহিলাদের মাসিক স্রাবের আগে বা পরে বোবায় ধরা। ২০০ শক্তি অব্যর্থ।

বায়োকেমিকঃ
Ferrum phos: বোবায় ধরার শ্রেষ্ঠ ঔষধ। ১২x শক্তি।




Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন