ফোড়া হলো ত্বক এবং এর নিচের অংশে সংক্রমণের কারণে তৈরি জমা পুঁজ। শরীরে এখানে-ওখানে অনেকের ফোড়া হতে দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের।
ত্বকের নিচে প্রথমে সংক্রমণ হয়, চারপাশের ত্বক লালচে বা গোলাপি হয়ে ওঠে, ব্যথা হয় এবং স্পর্শেই ব্যথা বাড়ে। পরে এই ফুলে ওঠা লালচে বা বাদামি বিষফোড়ার মধ্যে হলদে বা সাদাটে রঙের পুঁজ জমে, তখন একে চিকিৎসার ভাষায় অ্যাবসেস বলে।
জোর করে নিজেই ফোড়া গলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটা সাধারণ বিষফোড়া সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মাথায় নিজেই গলে যায়। গলে যাওয়ার পর একটা উষ্ণ, পরিষ্কার কাপড়ের খণ্ড বা তুলা বা গজ দিয়ে চেপে ধরে পুঁজ বের করে আনুন। ফোঁড়ার মধ্যে সুঁচ অথবা ধারালো কিছু প্রবেশ করানো যাবে না।
ফোঁড়ার কারণঃ
১। যারা ক্রনিক স্টেরয়েড থেরাপী নেন, কেমোথেরাপী নেন, যাদের ডায়াবেটিস আছে, ক্যান্সার আছে, যারা কিডনি ডায়ালাইসিস করেন, যাদের এইডস আছে, যাদের রক্তের রোগ আছে, যাদের লিউকেমিয়া আছে,
২। যাদের রক্তনালীর সমস্যা আছে (Peripheral vascular Disease),
৩। যাদের অন্ত্রনালীতে সমস্যা আছে (Crohn’s Disease, Ulcerative coilts),
৪। মারাত্মক পোড়া, মারাত্মক আঘাত (Severe trauma) তাদের ফোড়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে
Arnica Mont: শরীরের বিভিন্ন স্থনে ছোট ছোট ফোড়া, অত্যন্ত ব্যাথা। ৩x-৬ শক্তি উপকারী।
Heper Sulph: ফোড়ার জন্য অব্যর্থ। স্পর্শকাতর দপদপে ব্যাথা। পুঁজ জমা হলে ২x- ৩x শক্তি ঘন ঘন সেবনে ফোড়া ফেটে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় কোন মুখ দেখা না গেলে ২০০-১এম শক্তি ফোড়া বসিয়ে দেয়।
Myristica: যে কোন ফোড়ায় কার্যকরী। প্রথমাবস্থায় প্রয়োগ করলে ফোড়া বসে যায়। পুঁজ জমার পর সেবনে ফেটে যায়। ৩x শক্তি।
Bellis Per: শরীরের বিভিন্ন স্থনে ছোট ছোট ফোঁড়ায় সেবনীয়। Q শক্তি আদর্শ।
Cal.Pic: কানের ভেতর ফোড়া হলে প্রযোজ্য। ৩x-৩০ শক্তি।
বায়োকেমিকঃ
Ferrum Phos: ফোঁড়ার প্রদাহিত অবস্থায়, লাল, গরম, দপদপে ব্যাথা। ৬x উপকারী।
Silicea: বেদনাহীন স্ফোটকে কার্যকরী। ৩x-৬x শক্তি সেবনে ফেটে যায়। ২০০x পুঁজ শুকানোর সময় সহায়ক।
Cal.Sulph: ফোড়ার পুঁজ ঘন রক্ত মিশ্রিত। অনেকদিন যাবত ঝড়তেছে, দুর্গন্ধহীন। ১২x-২০০x শক্তি উপকারী।