বীর্যপাত ও স্বপ্নদোষের অধিক্যতার ক্ষতি
যৌবনের সুচনাতে তেমন বুঝা যায় না এবং শরীর তেমন দুর্বলও হয় না। ফলে এ রোগে আক্রান্ত
ব্যক্তিও নিজের দিকে খেয়াল করে না। মাঝে মাঝে সকাল বেলা তাঁর মাথা ব্যথা করে, মাথা
ভারী ভারী মনে হয়। বিশেষ করে বীর্যপাতের পর মাথা হালকা হালকা ব্যাথা অনুভব হয়। এক রাতেই
একাধিকবার স্বপ্নদোষ হয়, তাহলে সে অস্থিরতা ও আত্মভোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। চোখের
নিচে কালো দাগ পড়ে, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। কোনো রোগের কারণে কেউ এমন অন্ধ হয় না যেমন অধিক বীর্যপাতের কারণে ।
অধিক স্বপ্নদোষে চোখের দৃষ্টি কমার সাথে সাথে দিল-মনও দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে কম্পন
রোগ হয়, খাদ্য হজম হয় না। অণ্ডকোষদ্বয় ঝুলা এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ ঢিলা
হয়ে যায়। স্মরণশক্তি কম ও ও মাঝে মাঝে কানে টুনটুনি আওয়াজ হয়। আবার কারো কারো ঘুম
হয় না-এমন রোগী খুব কমই পাওয়া যায়। এ রোগের বেশিরভাগ লোকদের ঘুম বেশি হয়। যখন তারা
ঘুমায়, ভয়ানক স্বপ্ন দেখে। এসব লোকেরা পেরেশানীতে ভোগে , চেহারার লাবণ্যতা থাকে না
। সাদা চেহারাধারী ব্যক্তিদের চেহারা হরিদ্রাবর্ণ হয়ে যায়। উপরে নিচে উঠা নামার
সময় হাঁপানো ও সামান্য কাজ করলেই অস্থির হয়ে যায়। বেশি বেশি পেশাব হয়। কারো কারো
পেশাবে দুর্গন্ধও প্রকাশ পায়। ভালো ও উত্তম খাবার খাওয়ার পরও কোনো উপকার হয় না বরং
দিন দিন চিকন হতে থাকে। যদি কারো মাঝে উপরোক্ত আলামত পাওয়া যায়, নিজেকে বাঁচাতে
হলে অতিশীঘ্র তাকে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।