হোমিওপ্যাথি কি?
হোমিওপ্যথির বাংলা ‘সদৃশ বিধান’। ইহা একটি প্রাচীণ চিকিৎসা বিজ্ঞান। বিজ্ঞানী ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ১৮১০ সালে হোমিওপ্যাথির প্রথম পুস্তক ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ প্রকাশ করেন। তৎকালীন এলোপ্যাথি চিকিৎসার সর্বোচ্য ডিগ্রীধারী (এম,ডি) স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (জন্ম-১৭৫৫, মৃত্যু-১৮৪৩) একই সাথে একজন বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিক ছিলেন। পদার্থ, রসায়ন, দর্শন, ভাষাজ্ঞান তথাপি জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় তার দূরদৃষ্টি ছিল। তিনি প্রকৃতিকে খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করতেন। মানুষ প্রকৃতির সন্তান, যুগে যুগে তার সমস্ত সমস্যার সমাধান সে প্রকৃতির কাছ থেকেই নিয়েছে। তিনি অনুধাবন করতে পারলেন রোগারোগ্যের প্রাকৃতিক বিধান প্রকৃতিতেই বিদ্যমান আছে আমাদের শুধু শিখে নিতে হবে। ডাঃ এলেনের রেপর্টারী জার্মান ভাষায় অনুবাদ করার সময় কুইনাইন সেবনে কিভাবে জ্বরের লক্ষণ দূরীভূত হয় তা তাঁর মস্তিস্কে একটি নতুন ধারণার উম্মেষ ঘটায়। কুইনাইন বা চায়না জ্বরের উপসর্গ যেমন দূর করতে পারে তেমনি অনুরূপ উপসর্গ সৃষ্টিও করতে পারে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র (প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান) অনুযায়ী প্রতিটি ঔষধি গুণ সম্পন্ন ভেষজের নিজস্ব রোগ সৃষ্টিকারী এবং রোগ বিনাশকারী শক্তি রয়েছে, তিনি এটা বুঝতে পারলেন -স্থুলমাত্রায় কোন ঔষধ সুস্থদেহে যে সমস্থ অসামঞ্জস্যতা তৈরী করে উহাই সুক্ষ ও উচ্চমাত্রায় প্রয়োগে উক্ত অসামঞ্জস্য দূর করতে পারে। ইহাই সদৃশবিধান বা হোমিওপ্যাথি।
হোমিওপ্যাথিতে রোগের নয় স্বতন্ত্রভাবে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। হোমিওপ্যাথি ঔষধ যেমন সুক্ষ্ম শক্তি সম্পন্ন তেমনি এর অরোগ্য প্রণালীও (Process/System) অত্যান্ত জটিল ও সুক্ষ্ম, তবে বিধানটি (Treatment) সহজ কেননা এটা প্রাকৃতিক। Simila Similibus Curenter নামক টার্ম দ্রষ্টব্য।
সাবধানতাঃ
এই ওয়েবসাইট টি বানানো হয়েছে শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকদের জন্য। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতিত কেউ এর অপব্যবহার জনিত ভোগান্তির শিকার হলে ডেভেলপার কোনভাবেই দায়ী নয়।