এলার্জি / ঠান্ডার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

আমাদের শরীর সব সময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে (পরজীবী, ছত্রাক, ভাইরাস, এবং ব্যাকটেরিয়া) প্রতিরোধের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এই প্রচেষ্টাকে রোগ প্রতিরোগ প্রক্রিয়া বা ইমিউন বলে। কিন্তু কখনও কখনও আমাদের শরীর সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন অনেক ধরনের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। সাধারণত ক্ষতিকর নয় এমন সব বস্তুর প্রতি শরীরের এ অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে এলার্জি বলা হয়।

এলার্জিজনিত প্রধান সমস্যাগুলো-
এলার্জিজনিত সর্দি বা এলার্জিক রাইনাইটিস এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, কারও কারও চোখ দিয়েও পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে যায়।

এলার্জিক রাইনাইটিস দুই ধরনের-
সিজনাল এলার্জিক রাইনাটিস : বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এলার্জিক রাইনাইটিস হলে একে সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।

পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস : সারা বছর ধরে এলার্জিক রাইনাইটিস হলে একে পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গ
সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস : ঘন ঘন হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া , এছাড়াও অন্যান্য উপসর্গগুলো, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে তীব্র ব্যথা অনুভব করা,

পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস : পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিসের উপসর্গগুলো সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিসের মতো। কিন্তু এক্ষেত্রে উপসর্গগুলোর তীব্রতা কম হয় এবং স্থায়িত্ব বেশি হয়।

Allium Cepa: ঠান্ডা সর্দি, অনবরত হাঁচি, নাক চোখ দিয়ে কাঁচা পানি। Q-৩০ শক্তি।

Arsenic Alb: অবিরাম হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, কাঁচা গরম সর্দিস্রাব (ঠান্ডা হলে Merc Sol), পিপাসা, অস্থিরতা। ৩x-৩০ শক্তি।

Sanguneria Nit: নাক দিয়ে পানি, হাঁচি, নাকের গোড়ায় ভারবোধ, ডান নাসারন্ধ্র দিয়ে জলের ন্যায় সর্দি ঝরে। ৩x-৩০ শক্তি প্রযোজ্য।

Arsenic Iod: নাক দিয়ে গরম জল, ঘন ঘন হাঁচি, নাক জ্বালা করে। ৩x-৩০ শক্তি উপকারী।

Euphorbium: হাঁচি দিতে দিতে ঘেমে যায়, ইনফ্লুয়েঞ্জার পর এলার্জি। ৩০-২০০ শক্তি ফলপ্রদ।



বায়োকেমিকঃ
Nat.mur: হাঁচি, নাক মুখ চোখ দিয়ে পানি পড়া। ৬x বা ১২x বিশেষ উপকারী।

Ferrum phos: নাক মুখ লালচে,ব্যথা চুলকানীযুক্ত, কোষ্ঠবদ্ধপ্রবণ রোগীকে ৬x,১২x।

Kali mur: ফেরাম ফসের সাথে খাওয়া যেতে পারে।

B.P-5 উপকারী।




নবীনতর পূর্বতন