সব ধরনের ব্যথা-বেদনা লুকিয়ে রেখে হাসিমুখে জীবন যাপনের ক্ষমতা থাকে বলেই হয়তো নারীর অনেক অসুখও আগে থেকে বোঝা যায় না। যেমন হৃদরোগ। পুরুষের ক্ষেত্রে এই ভয়ঙ্কর অসুখটি যত সহজে ধরা পড়ে, নারীর ক্ষেত্রে তেমন নয়।
পুরুষের তুলনায় নারীর সাধারণত দশ বছর দেরিতে এবং অনেক বেশি ঝুঁকি সহকারে রোগ ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় লক্ষণগুলো (যেমন- বুকে ব্যথা এবং সেই ব্যথা কাঁধ, বাহু ও গলাতে ছড়িয়ে যাওয়া) কমই দেখা দেয়।
অনেক নারীর হার্ট অ্যাটাকের কারণ জানা যায় না, বিশেষ করে কম বয়সে অথবা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে। তাই নারীর হার্ট অ্যাটাকের কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর দেওয়া উচিত-
ব্যথা, চাপ অথবা বুকের যেকোনো অস্বস্তি নারীর ‘হার্ট অ্যাটাক’এর লক্ষণ। তবে অনেকের বুকে ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এই ধরনের বুকে ব্যথায় অনেকটা চেপে আসা বা টান লাগার মতো অনুভূতি হতে পারে। আর এটি কেবল বুকের বাঁ পাশে নয় বরং বুকের যেকোনো জায়গায়ই হতে পারে।
গলা, মুখের হাড়, কাঁধ বা পিঠের উপরের অংশে ব্যথা- এই লক্ষণগুলো পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এধরনের ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে আবার তীব্র হওয়ার আগে বিক্ষিপ্তভাবেও অনুভূত হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা কেবল বুকেই হবে এমন ধারণা থাকার ফলে এই ব্যথাগুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়।
যেকোনো ঋতুতেই কারণ ছাড়া হঠাৎ করে ঘাম দেখা দেওয়া হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এই অস্বাভাবিক ঘাম দেখা দিলে দ্রুত তার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।
পারিবারিকভাবে যদি হৃদরোগের সমস্যা থাকে তবে হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেটে অস্বস্তি অথবা বুকে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। এটি হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। অনেক নারী পেটে অত্যাধিক চাপ অনুভব করে যা অনেকটাই পেটের উপরের অংশে ভারী কিছু থাকার মতো, যা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
হঠাৎ করেই যদি শ্বাস প্রশ্বাসের দ্রুত ওঠানামা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে এটা হার্ট অ্যাটাকের একটি গুরুতর লক্ষণ। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোনো ভারী পরিশ্রম করা ছাড়াই শরীর ক্লান্ত লাগলে বা দুর্বলতা কাজ করা হৃদযন্ত্রের চাপ নির্দেশ করে। খেয়াল রাখতে হবে এর সঙ্গে বুকের ব্যথাও জড়িত আছে কিনা।