আমবাতের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

শরীরের যেকোন অংগে চুলকানী জাতীয় এলার্জিকে আর্টিকেরিয়া বলে। নখের আঁচরে ফুলে উঠে আবার একাই মসৃণ হয়ে যায়। গরুর মাংস, ডিম, চিংড়ি ইলিশ মাছ ইত্যাদি এলার্জি জাতীয় খাবার খেলে দেখা দিতে পারে। ঘর্মাক্ত শরীরে স্নান করলে হতে পারে। রোগীরা সাধারনত শীতকাতর হয়। আর্টিকেরিয়ার ফলে ত্বকে লালচে ফোলা ফোলা হয় এবং ভীষণ চুলকায়। ত্বকের গভীর স্তরে হলে, মুখ, হাত-পা ফুলে যেতে পারে। আর্টিকেরিয়ার ফলে সৃষ্টি খোলা অংশগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী থাকে কিন্তু কখনও কখনও বার বার হয়। যে কোনো বয়সে আর্টিকেরিয়া হতে পারে। তবে স্বল্পস্থায়ী আর্টিকেরিয়া বাচ্চাদের মধ্যে এবং দীর্ঘস্থায়ী আর্টিকেরিয়া বড়দের মধ্যে দেখা যায়।

লক্ষণ ও উপসর্গ
ত্বকে ছোট ছোট ফোঁসকা পড়া , ফোঁসকাগুলো গলে যাওয়া, চুয়ে চুয়ে পানি পড়া , ত্বকের বহিরাবরণ ওঠে যাওয়া, ত্বক লালচে হওয়া এবং চুলকানো , চামড়া ফেটে আঁশটে হওয়া, চোখ চুলকানো, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা, বমি বমিভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া।

সাধারণ এলার্জি উৎপাদকগুলো :
ছত্রাক, ফাঙ্গাস, ফুলের রেণু বা পরাগ, ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া , খাদ্যদ্রব্য, ঘরের ধুলো ময়লা , প্রাণীর পশম এবং চুল, পোকা মাকড়ের কামড় , ওষুধসহ কিছু, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, প্রসাধন সামগ্রী , উগ্র সুগন্ধী বা তীব্র দুর্গন্ধ ইত্যাদি।

Apis Mel: সারা দেহের যেকোন স্থানে মৌমাছির হুল ফোটানোর মত ব্যথাসহ চাকাচাকা হয়ে ফুলে যায়, অনেকটা গোলাপি রঙের হয়, জ্বালা থাকে। গরমে এবং সন্ধ্যায় বৃদ্ধি পায়। ৩-৩০ নিম্নশক্তি ফলপ্রদ।

Urtica Urens: সকল প্রকার আমবাতে, চুলকানী জ্বালা কাঁটা ফোটার ন্যায় ব্যথা। হাত বুলিয়ে দিলে আরাম। ঘুমাইলে যন্ত্রনা কমে। Q – 30 নিম্নশক্তি উপকারী।

Rhus Tox: বৃষ্টিতে ভেজার কারণে, আর্দ্র স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস এবং ঠান্ডা জনিত হলে অব্যর্থ। ৬-৩০ শক্তি।



বায়োকেমিকঃ
Nat.mur, Nat.sulph: দু’টি একসাথে ৬x বা ১২x বিশেষ উপকারী।

Ferrum Phos: লালচে,ব্যথা চুলকানীযুক্ত, কোষ্ঠবদ্ধপ্রবণ রোগীকে ৬x, ১২x।

Kali Mur: ফেরাম ফসের সাথে খাওয়া যেতে পারে।




নবীনতর পূর্বতন