হুপিংকাশি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত একটি সংক্রামক ব্যাধি । যে
বয়সের লোক এই রোগে আক্রান্ত হইতে পারে । শিশুদের মধ্যে (২ থেকে ৫ বৎসর) এই রোগের
প্রকোপ খুব বেশী ।
রোগের কারন সমূহঃ-
হেমোফেলাস পারটিউসিস
নামক জীবাণু দ্বার শিশু ও বালক-বালিকা এই রোগে আক্রান্ত হয় । সর্দি হইতে কাশি,
কাশি শুকনো হইলে তাহা প্রায়াই হুপিং কাশিতে পরিনত হয় । হুপিং কাশির টিকা দিলে এই
রোগ আর হয় না ।
রোগের লক্ষন সমূহঃ-
১. প্রথম অবস্থায় রোগী
সর্দি-কাশিতে
আক্রান্ত হয় তার সঙ্গে জ্বর হয় । জ্বর
বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ডিগ্রীর উপর পর্যন্ত হইতে পারে ।
২. ঘন ঘন
কাশের পর কাশ হইয়া শ্বাস-প্রশ্বাস
বন্ধ হইবার উপক্রম হয় ।
৩. রোগী
কাশির সাথে ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস
নেয় ।
৪. অনেক
সময় কাশতে কাশতে বমি হইতে পারে ।
৫. বুক
সাঁই সাঁই শব্দ হয়, রোগীর অস্থিরতা, পিপাসা প্রভুতি দেখা দেয় ।
৬. কাশির
জন্য ঘাড়ে, পিঠে, বুকে ব্যাথা হয় ।
খাবার ও আনুষঙ্গিকঃ-
১. জ্বর থাকিলে ভাত বন্ধ, জ্বর না থাকিলে সাভাবিক খাবার খাইবে ।
২. কাশির সঙ্গে বমি হইলে বমির পর কিছু খাবার দেওয়া প্রয়োজন ।
৩. বাচ্চাকে হুপিং কাশির টিকা দিন । বাচ্চাকে হুপিং কাশির টিকা দিলে
এই রোগ আর হয় না । এই রোগের টিকা আবিষ্কারেরে পর থেকে হুপিং কাশি আর হয় না বললেই
চলে ।