বিভিন্ন কারণে শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষের কানে ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী ইনফেকশন বা সংক্রমণ। সাধারণত মধ্যকর্ণের ইনফেকশন ও কানের নালির প্রদাহের জন্য কানে ব্যথা হয়।
লক্ষণঃ-
কানে তীব্র ব্যথা, অনেক সময় শুনতে সমস্যা হয়, চুলকায়, জ্বর আসে, ঝিমঝিম শব্দ হয়, কান দিয়ে তরল পদার্থের মতো কিছু একটা বের হয় বা বমি বমি ভাবও হতে পারে। এ ছাড়া কানের ভেতর ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে পারে।
যা যা করনীয়ঃ
* কানের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেইনকিলার হিসেবে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন, অ্যাসপিরিন খেতে পারেন।
* গরম সেক দিলে কিছুটা উপকার পাবেন।
* কানে কটন বাড, ম্যাচের কাঠি, পিন বা আঙুল দিয়ে চুলকাবেন না, খোঁচাবেন না।
* যদি কান থেকে তরল বের হয় বা গায়ে জ্বর থাকে, তবে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। বাচ্চাদের কানে ব্যথার ক্ষেত্রে নিজে কোনো চিকিৎসা করবেন না।
কানে পানি জমার অন্যতম কারণঃ-
গোসল করার সময় বা সাঁতার কাটতে গেলে অনেক সময়ই কানে পানি ঢুকে যায়। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই অপর কানে ঝাঁকি দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করেন। অনেক সময় বের হয়ে যায়, অনেক সময় হয় না। কানে পানি ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কানের লতি টেনে ধরে মাথাটা কাত করুন। তাতেও পানি বের না হলে পরিষ্কার তুলা দিয়ে সাবধানে পানি বের করে নিন। তবে কটন বাড ব্যবহার করবেন না। কটন বাড ব্যবহারে কানের পর্দার ক্ষতি হতে পারে।
পানি ঢুকলে কী করবেনঃ-
* যে কানে সমস্যা হচ্ছে সে কানটি শুকনা রাখুন
* কানে পানি ঢোকার কারণে সমস্যা হলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন কিছু দিন
* ব্যথা কমানোর জন্য কাপড় গরম করে সেক দিতে পারেন।
ডাক্তারের কাছে যেতেই হবেঃ-
* চার-পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা থাকলে
* ডায়াবেটিস রোগী হলে
* অতীতে কানে ঘা হয়ে থাকলে বা আগে কখনো কানের পর্দায় সার্জারি করা হয়ে থাকলে।