প্রাথমিক কথাঃ-
ম্যালেরিয়া জ্বর খুব পরিচিত একটি রোগ । বাংলাদেশ ও
ভারতে এই রোগে প্রাদুর্ভাব খুব বেশী ছিল । তবে আজকাল বহু্লাংশে ম্যালেরিয়া জ্বর
কমিয়া গিয়াছে ।
রোগের কারন সমূহঃ-
ম্যালেরিয়া জ্বর “প্লাজমোডিয়াম” নামক এক প্রকার
প্রটোজোয়া মানবদেহে ম্যালেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে । এই রোগের প্যারাসাইগুলি
ম্যালেরিয়া রোগীর শরীরে বিদ্যমান থাকে । স্ত্রী জাতীয় এনোফিলিস মশা আক্তান্ত
রোরীকে দংশন করিলে ঐ রোগ জীবাণু মশার দেহে প্রবেশ করে । অবশেষে যখন উহা সুস্থ মানব
দেহে দংশন করে, তখন ঐ সুস্থ ব্যক্তির রক্তে মিশে গিয়ে বংশ বৃদ্ধি করে এবং ১০/১২
দিনের মধ্যে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয় ।
রোগের লক্ষণ সমূহঃ-
১. রোগী শীত শীত অনুভব করে, হাত-পা ঠাণ্ডা
হয়, প্রবল কম্প দিয়ে জ্বর আসে । রোগী এত বেশী কাঁপিতে থাকে যে লেপ, কম্বল দিয়ে
চাপা দিলেও কম্পন বন্ধ হয় না এবং মাথা ব্যথা থাকে, বেদনা থাকে, এমন অবস্থায় বেশ
কিছুক্ষন স্থায়ী থাকে ।
২. রোগীর দেহের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং
পরিশেষে ১০৩ ডিগ্রি/১০৪ ডিগ্রি হয়, রোগী তখন প্রলাপ বকতে থাকে । রোগী শরীরে কাপড়
রাখিতে পারে না ।
৩. জ্বর ছাড়িবার সময় রোগীর ভীষণ ঘাম হয় এবং
তাপমাত্রা কমিয়া যায়া ।
খাবার ও আনুষঙ্গিকঃ-
১. বেশী অসুবিধা হইলে বরফ বা ঠাণ্ডা পানি
দ্বারা হাত-পা, শরীর স্পঞ্জ করে দিতে হবে ।
২. বেশী জ্বরে মাথায় প্রচুর পানি দিতে হইবে ।
৩. জ্বর বৃদ্ধি পাইলে বমি হইতে পারে তাই গরম
পানির সাথে লেবুর রস খাইতে দেওয় যায় ।
৪. জ্বর ছাড়িয়া যাইবার পর সগু, বার্ল খাইতে
দেওয়া যায় ।
৫. মশারি খাটিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন ।
৬. স্যাৎ-সেতে জায়গায় থাকা উচিৎ নয় ।