প্রাথমিক কথাঃ-ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি সংক্রামক ব্যধি । সর্দি জ্বরের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও কাশি থাকে ও নাক দিয়ে পানি পড়ে । এই রোগে রোগীর হৃদপিণ্ড ও শরীর দুর্বল করে দেয় । অনেক সময় ইহা মহামারির আকারে দখা দেয় ।রোগের কারন সমূহঃ-ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ সাধারনত ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে । রোগ জীবানু শরীরে প্রবেশ করলে গা ম্যাজম্যাজ করে । ফলে হাত, পা, গা ইত্যাদিতে ব্যথা হয় ।রোগের লক্ষণ সমূহঃ-*বাংলাদেশে সাধারনত তিন প্রকারের ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা যায় ।
১. জ্বর সংক্রান্ত (ফেবরাইল টাইপ)-ইহার প্রধান লক্ষণ জ্বর এবং ইহা হঠাৎ আরম্ভ হয় । ইহার প্রাথমিক অবস্থায় মাথা ধরা, শীত অনুভব হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ প্যকাশ পায় । জ্বরের মাত্রা দ্রুত বাড়ে । প্রায় সপ্তাহ খানিক এই জ্বর থাকে ।
২. শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত (রেস্পিরেটরি টাইপ)-এই ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীর জ্বর বৃদ্ধি পায় এবং তাড়াতাড়ি দুর্বল হয় । কাশি অত্যধিক বৃদ্ধি পায়, শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে । কাশির জন্য বুকে ব্যথা হয় । সময়মত চিকিৎসা না হইলে ধীরে ধীরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হইতে পারে ।
৩. কঠন আকারে (মেলিগন্যন্ট টাইপ)-ইনফ্লুয়েঞ্জা যখন মহামারি আকারে দেখা দেয় তখন এই ধরনের রোগী দেখা যায় । অল্প সময়ের মধ্যে রোগী চুপসে যায় ।#রোগ যেন ব্যপক হারে বিস্তার না করতে পারে সে জন্য রোগীকে আলাদাভাবে রাখা উচিৎ ।খাবার ও আনুষঙ্গিকঃ-১. জ্বরের গতি বেশি হইলে রোগীর মাথায় প্রচুর পানি ঢালতে হবে (বরফের পট্রি দিতে পারলে ভাল হয়)।
২. রোগীকে পূর্ন বিশ্রামে রাখিতে হইবে ।
৩. গলায় খুস খুস কাশি থাকলে উঞ্চ পানিতে লবন মিশিয়ে গড়গড়া করিতে হইবে (দিনে ২/৩ বার)।
৪. রোগীকে লেবুর সরবত ও প্রচুর পানি পান করিতে হইবে ।